সুন্দরবনে নানান ধরণের উদ্ভিদ আছে, যার অধিকাংশ গাছে ফুল ধরে। কিন্তু মৌমাছি সব গাছ থেকে মধু সংগ্রহ করে না। সুন্দরবনের যেসব গাছ থেকে মধু সংগ্রহ করে সেগুলো হলো – খলিশা, গরান , বাইন , গেওয়া , কেওড়া , কাকড়া , গর্জন , পশুর প্রভৃতি। সুন্দরবনকে চাঁদপাই রেঞ্জ , শরণখোলা রেঞ্জ , খুলনা রেঞ্জ এবং সাতক্ষীরা রেঞ্জ সহ মোট চার টা রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু লবণাক্ততার উপর ভিত্তি করে সুন্দরবনকে ৩ টা অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। যথা : লবন পানির অঞ্চল , মধ্যম লবন পানির অঞ্চল ও মিঠা পানির অঞ্চল। সুন্দরবনের পশ্চিম অংশ হল লবন পানির এলাকা , সুন্দরবনে বেশি মধু উৎপন্ন হয় এই লবন পানির অঞ্চল হতে। অর্থাৎ সুন্দরবনের যে ৪ টি রেঞ্জ আছে তার মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে বেশি মধু উৎপন্ন হয়। সংক্ষেপে বলা যায় সুন্দরবনের প্রায় ৯০ ভাগ মধু সাতক্ষীরা রেঞ্জের বনাঞ্চল থেকে ঊৎপন্ন হয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের বনাঞ্চলে প্রচুর মধু উৎপন্নকারী গাছ যথা – খলিশা, গরান , বাইন , গেওয়া , কেওড়া , কাকড়া , গর্জন , পশুর প্রভৃতি আছে।
মৌমাছি যেসব গাছ হতে মধু সংগ্রহ করে তার উপর ভিত্তি করে এবং মধুর গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে সুন্দরবনের মধুকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বছর এর প্রথমে মার্চ ও এপ্রিল মাসে সুন্দরবনের খলিশা গাছে প্রচুর ফুল ফোটে , এ সময় যে মধু সংগ্রহ করা হয় সেটাই হলো সুন্দরবনের বিখ্যাত খলিশার মধু। খলিশার মধু পদ্ম মধু নামে ও পরিচিত। গুনে ও মানে এই মধু সবার থেকে সেরা। এজন্য খলিশার মধুর দাম ও একটু বেশি। এর পর মে মাসের প্রথম থেকে যে মধু পাওয়া যায় সেটা হলো সুন্দবনের গরানের মধু। মৌসুমের একবারে শেষের দিকে যে মধু সংগ্রহ করা হয় তা হলো গেওয়া , বাইন ও কেওড়ার মধু। কেউ কেউ এ সময়ের মধুকে মিশ্র ফুলের মধু ও বলে থাকেন।
অর্ডার করতে / পণ্য সম্পর্কে জানতে / যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের কল করুন : 01717996790 এবং 01911996790
WhatsApp and IMO: +8801717996790
Note: nildumur.com এর Founder & CEO, MD. AHSAN HABIB এর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর গ্রামে
Reviews
There are no reviews yet.